লাইফস্টাইল ডেস্ক,
শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিনের জুড়ি নেই। শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গেলে যেমন নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে, ঠিক তেমনি প্রোটিনের অভাবজনিত কারণেও নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই অবশ্যই সর্তক থাকা প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে, পেশির সমস্যা, ত্বক-চুল-নখসহ, অপুষ্টিজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এছাড়াও প্রোটিনের ঘাটতি হলে আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
এডিমা বা ফোলা ভাব : এডিমা বা ফোলা ভাব শরীরে প্রোটিনের ঘাটতির একটি সাধারণ লক্ষণ। এক্ষেত্রে হাত, পা, পায়ের পাতায় ফোলাভাব লক্ষ্য করা যায়। এটি প্রধানত টিস্যুগুলিতে তরল জমার কারণে ঘটে। শরীরের অন্যান্য অংশে অস্বাভাবিক ফোলা লক্ষ্য করলে, দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ক্লান্তি ভাব : শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পেলে, পেশি এবং চলাফেরায় প্রভাব পড়তে পারে। প্রোটিন পেশি এবং টিস্যুগুলোকে মেরামত করতে সহায়তা করে। তাই সঠিক পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করলে শরীর সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এটি বিপাকেও প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে ক্লান্তি অনুভব হয়।
ত্বক, চুল এবং নখের সমস্যা : প্রোটিন আমাদের ত্বক, চুল এবং নখ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই প্রোটিনের অভাব দেখা দিলে ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক, নখ ভেঙে যাওয়া, চুলের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন – চুল পড়া শুরু হতে পারে।
খিদে বেড়ে যাওয়া : প্রোটিন শরীরের প্রধান জ্বালানি। এটি শরীরে ক্যালোরি সরবরাহ করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ না করলে বারবার ক্ষুধার অনুভূতি হয়। যার ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সাথে ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রাও অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
ফ্যাটি লিভার : প্রোটিনের ঘাটতির আরও একটি সাধারণ লক্ষণ হল, ফ্যাটি লিভার। এর ফলে লিভারের কোষগুলিতে ফ্যাট জমা হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
পেশি ক্ষতিগ্রস্ত : শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিলে, পেশির গঠন ব্যাহত হয়।
হাড় ভাঙার ঝুঁকি : প্রোটিন হাড়ের শক্তি এবং ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন না পেলে, হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে ফ্র্যাকচার বা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
সংক্রমণের ঝুঁকি : শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের অভাবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। যার ফলে নানা রকম সংক্রমণের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
বর্তমান সময়/আইপি