প্রযুক্তি ডেস্ক,
ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বছর ১৯৭২ সাল। কিন্তু কারণ কী? কীভাবে দীর্ঘতম বছর হলো ১৯৭২ সাল? দীর্ঘতম বছর হওয়ার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে। একটি লিপ ইয়ার, অন্যটি দুই ‘লিপ সেকেন্ড’। সাধারণত আমরা লিপ ইয়ার কথা শুনতেও ‘লিপ সেকেন্ড’-এর কথা খুব একটা শুনিনি। ১৯৭২ সাল গড় সময়ের তুলনায় দুই সেকেন্ড বড় ছিল। সেই অতিরিক্ত দু’সেকেন্ডকে ‘লিপ সেকেন্ড’ বলা হয়।
এ ঘোরার ওপর নির্ভর করেই দিনরাত, জোয়ার-ভাটা এবং ঋতু পরিবর্তন হয়। কিন্তু পৃথিবীর গতি সব সময়ই একই থাকে না। অনেকগুলো প্রাকৃতিক বিষয়ের ওপর পৃথিবীর এ গতি নির্ভর করে। কখনও পৃথিবীর গতি সামান্য বেড়ে যায় আবার কখনও সামান্য কমেও যায়। এ ফলেই জোয়ার-ভাটা, অগ্ন্যুৎপাত ঘটে৷
১৯৭২ সাল থেকে লিপ সেকেন্ড যোগ করা শুরু হয়। ৩০ জুন এবং ৩১ ডিসেম্বর এ দুই দিনে লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়। এই বাড়তি এক সেকেন্ডকে বলা হয় লিপ সেকেন্ড।
আন্তর্জাতিক আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস ঠিক করে কোন বছর লিপ সেকেন্ড ঘড়িতে যোগ করা হবে তা নির্ধারণ করে। তারা অনেক আগে থেকেই ঘোষণা করে কোন বছরে এ লিপ সেকেন্ড যোগ করা হবে।
১৯৭২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ২৭ বার লিপ সেকেন্ড যোগ হয়েছে। যেমন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ৩১ ডিসেম্বরে লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়৷ তবে, ১৯৮০ সালে কোনো লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়নি। এরপর ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ দুবছর ৩০ জুন যোগ করা হয়।
ফের ১৯৮০ সালের মতো ১৯৮৪ সালেও কোনো লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়নি। শেষ ২০১৬ সালে যোগ করা হয়েছিল। ১৯৮৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়েছিল। ২০১৬-এর পরে আর কোনো লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়নি।
চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেমস সার্ভিস প্রয়োজন মনে করলে লিপ সেকেন্ড যোগ করার কথা আগে থেকেই ঘোষণা করতে পারে।
কিন্তু বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা লিপ সেকেন্ড বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এনেছে। কারণ মিনিটে এক সেকেন্ড যোগ হওয়ার ফলে বহু কম্পিউটার অতিরিক্ত সময় নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বহু সফটওয়্যারকে।
বিএসডি/আইপি