বর্তমান সময় ডেস্ক:
গত রোববার উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করেছে মেট্রোরেল। এটি সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তরা থেকে ছেড়ে ৩০ মিনিটে আগারগাঁওয়ে পৌঁছায়। মেট্রোরেলের পারফরম্যান্স টেস্ট মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল, যা শুরুতে উত্তরা থেকে পরবর্তী তিন স্টেশন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। গত মাসে দ্বিতীয় ধাপে তা সম্প্রসারিত হয়ে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ছয়টি স্টেশনে চলাচল করেছিল মেট্রোরেল। আর সর্বশেষ ধাপে আগারগাঁও পর্যন্ত পারফরম্যান্স টেস্ট সম্পন্ন করল স্বপ্নের মেট্রোরেল।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের ডিসেম্বরে যাত্রী পরিবহণ শুরু করবে মেট্রোরেল। বস্তুত এর মধ্য দিয়ে ঢাকা ও এর আশপাশের বাসিন্দারা দেশে প্রথম বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেলে দ্রুত সময়ে চলাচল সুবিধার আওতায় আসবেন। অন্যদিকে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পূর্ণতা লাভের পথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতুর শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের জুনে সেতুতে যান চলাচলের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
পদ্মা নদীর উপর সেতু হবে, এটা ছিল মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এ সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন হলে দেশের দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলা রাজধানী ঢাকাসহ পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত হবে। বাড়বে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব ও ব্যবহার। স্থলবন্দর বেনাপোল ও ভোমরাকে ঘিরেও তৈরি হবে নতুন সম্ভাবনা। এ সবকিছুর ফলে বৃদ্ধি পাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। মোটকথা, পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পঞ্চিমাঞ্চলের প্রায় তিন কোটি মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে আসছে।
একইভাবে রাজধানীর গণপরিবহণ ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের মাধ্যমে। বলার অপেক্ষা রাখে না, রাজধানীর সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি গণপরিবহণ সংকট। এ সমস্যা নিরসনে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। মেট্রোরেল রাজধানীবাসীর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও গতি আনার পাশাপাশি অসহনীয় যানজটের যন্ত্রণা থেকেও অনেকাংশে মুক্তি দেবে।
দেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির বিষয়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রতি দেশবাসীর আগ্রহ স্বভাবতই বেশি। জনপ্রত্যাশা ও গুরুত্ব বিবেচনায় প্রকল্প দুটি নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এটাই প্রত্যাশা।
বিএসডি/ এসএস