আন্তজার্তিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দায়িত্বপালনরত নিজেদের সকল সশস্ত্র যোদ্ধাকে ইউনিফর্ম পরার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) তালেবানের মুখপাত্র একথা জানান বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। তালেবান যোদ্ধাদের হাতে সাধারণ মানুষকে অত্যাচার ও হয়রানির বিষয়ে একের পর এক অভিযোগের পর এই নির্দেশনা দেওয়া হলো।
গত মাসে রাজধানী কাবুল-সহ পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয় তালেবান। বলা হয়েছিল- বিদেশি বাহিনী ও সাবেক আফগান সরকারের সঙ্গে কাজ করার কারণে কারও বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করা হবে না। রাস্তঘাটে মারধর করা হবে না।
এই পরিস্থিতিতে রোববার তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বার্তাসংস্থা ডিপিএ’কে জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধাদের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলছেন, কাবুলে দায়িত্বপালনের সময় এবং কোনো বাড়িতে বা ভবনে তল্লাশি অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সকল সদস্যকে ইউনিফর্ম পরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্রের দায়িত্বপালনের পাশাপাশি আফগানিস্তানের নতুন অন্তর্বর্তী সকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মুজাহিদ।
এই মুহূর্তে তালেবান যোদ্ধাদের ‘বদরি ৩১৩’ ইউনিটের একটি বড় দল কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। তাদের কিছুদিন আগেই ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। তোলো নিউজ জানিয়েছে, শিগগিরই তাদের সঙ্গে সাবেক সরকারের পুলিশ সদস্যরাও যোগ দেবেন।
তবে বিমানবন্দরের বাইরে দায়িত্বপালন করা যোদ্ধারা সাদা পোশাকেই ঘুরছিলেন। এবার তাদেরও ইউনিফর্ম পরতে হবে। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওই তালেবান যোদ্ধাদেরই পুলিশে সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া ইউনিফর্ম পরলে কারা অন্যায় অত্যাচার করছে, তা খুঁজে বের করা সহজ হবে। ব্যবস্থাও নেওয়া যাবে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও তালেবান যোদ্ধাদের হাতে সাধারণ মানুষ ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হওয়া এবং এই ইস্যুতে তীব্র সমালোচনার পর যোদ্ধাদের ইউনিফর্ম পরা বাধ্যতামূলক করল তালেবান।
বিএসডি/আইপি