পর্যটন ডেস্ক,
জনশূন্য সৈকতে অবিরত আছড়ে পড়ছে নিঃসঙ্গ ঢেউ। যেখানে কান পাতলেই ধরা দেয় গহীনের সম্মোহনী শব্দ। সৈকতে আনাগোনা নানান জীববৈচিত্রের। এমন রূপ এখন স্বাভাবিক সময়ে পর্যটকদের আশ্রয় দিতে মহাব্যস্ত থাকা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের। করোনাকালে পর্যটক সমাগম না হওয়ায় যৌবন ফিরে পেয়েছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা। এতে পর্যটন পেশার ক্ষতি হলেও দূষণমুক্ত সৈকত পেয়েছেন স্থানীয়রা।
মানুষের ঠাসা ভিড় না থাকায় কুয়াকাটা সৈকতে এখন লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। করোনাকালে দফায় দফায় লকডাউনে পর্যটকশূন্য হয়ে সৈকতে দূষণ কমে প্রাণ ফিরেছে বলছেন স্থানীয়রা।
সৈকতে পর্যটনের সাথে যুক্ত কয়েকজন জানান, আগে পর্যটকের জন্য পাখি আসতো না। এখন নিয়মিত পাখির আওয়াজে মুখরিত হয়ে থাকে পরিবেশ। পানির রংও অনেক সুন্দর হয়েছে। গাছপালাও আগের থেকে অনেক সবুজ।
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরও যেন এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অটুট থাকে, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে যেন পর্যটক আসা শুরু হলেও এই প্রাণবৈচিত্র ধরে রাখা যায়।
১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সৈকতবিশিষ্ট সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে ১৯৯৮ সালে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার।
বিএসডি/আইপি