নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান (মোটরসাইকেল, গঙ্গাচড়া ইউপি), বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী সাজু (আনারস, আলমবিদিতর ইউপি), সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান আল সুমন আব্দুল্লাহ (ঘোড়া, গঙ্গাচড়া ইউপি), সদস্য জিল্লুর রহমান (মোটরসাইকেল, মর্ণেয়া ইউপি) ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহবুবার রহমান তারা (আনারস, গজঘণ্টা ইউপি)।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ওই পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে তাদেরকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের আদেশপত্রও ইতোমধ্যে বিদ্রোহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) গঙ্গাচড়ার বড়বিল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও মর্ণেয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি রেজাউল কবীর রঞ্জুকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা জাতীয় পার্টি। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় পার্টির কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ৯টি ও বদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএসডি/এসএফ