আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুদ্ধ শুরু হলে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ প্রতিদিন ইসরায়েলের দিকে ২ হাজার ৫০০টি রকেট ছুঁড়তে পারে বলে ধারণা করছে ইহুদি দেশটির সামরিক বাহিনী। আর এই জন্যই হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইসরায়েল। সোমবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উরি গোরদিনের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি রোববার জানায়, লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না ইসরায়েল। তবে যদি যুদ্ধ বেঁধেই যায়, সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ২ হাজার ৫০০টি পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে প্রস্তুত আছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
গত মে মাসে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ও ফিলিস্তিনের গাজার ক্ষমতাসীন দল হামাস। ১১ দিনব্যাপী ওই যুদ্ধে আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইহুদি রাষ্ট্রটির ভূখণ্ডে বহু রকেট নিক্ষেপ করে হামাস।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর হোম ফ্রন্ট কমান্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন উরি গোরদিন। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে তার তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে গাজা যুদ্ধের সময় তেল আবিব ও আশদুদের মতো শহরগুলো ইসরায়েলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক রকেট ও আগুন হামলার শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত মে মাসে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল হামলা শুরু করলে সেখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০’র বেশি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। যদি হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ লাগে তাহলে আমরা ধারণা করতে পারি প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২৫০০-র মধ্যে রকেট ছোঁড়া হবে।’
এর আগে, গত মার্চ মাসে এই কমান্ডার বলেছিলেন, হিজবুল্লার কাছে সর্বোচ্চ সংখ্যক রকেট মজুদ রয়েছে এবং যুদ্ধ শুরু হলে প্রতিদিন হিজবুল্লাহ গড়ে ২০০০ রকেট ছুঁড়তে সক্ষম।
রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক বলছে, ইসরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর হোম ফ্রন্ট কমান্ড। এছাড়া যেকোনো ধরনের হুমকি, সংঘর্ষ ও দুর্যোগ মোকাবিলায়ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই ইউনিটটি কাজ করে থাকে। উরি গোরদিন এই কমান্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল। প্রায় দেড় দশক আগে হওয়া ওই সংঘর্ষে ১২০০-র বেশি লেবানিজ নাগরিক এবং ১৬০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন।