নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৬ জুন ২০২২ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০:০০ ঘটিকা হতে রাত ২২:০০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও ঔষধ প্রশাসনের উপস্থিতিতে, র্যাব-১০ এর সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার বংশাল ও কোতয়ালী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত উক্ত এলাকায় অনুমোদনহীন অবৈধ ঔষধ মজুদ ও বিক্রি করার অপরাধে সোহাদেব মেডিকেল হলকে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, আর এস ড্রাগকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, অনিক ড্রাগকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, রাসেল মেডিসিনকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, রাইহান মেডিসিনকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, রাজ ফার্মাকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, সোহাগ ড্রাগকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, বিসমিল্লাহ ড্রাগকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, নুরজাহান মেডিসিন কর্নারকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, জুনায়েদ মেডিকেল হলকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, তৈয়বা ড্রাগ হাউজকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, সোহাগ ড্রাগ হাউজকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, মনির ট্রেডার্সকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, মুরাদ মেডিসিন কর্নারকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, মা-বাবার দোয়া ড্রাগ হাউজকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, বিসমিল্লাহ ড্রাগ হাউজকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা, সুমাইয়া মেডিকেল হলকে নগদ- ২,০৪,০০০/- (দুই লক্ষ চার হাজার) টাকা, গোডাউন জনসেবা মেডিকেলকে নগদ- ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা, নিয়ামত ফার্মেসীকে নগদ- ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা, নোয়াব মেডিকেল স্টোরকে নগদ- ১,০২,০০০/- (এক লক্ষ দুই হাজার) টাকা এবং আল-মালিক সার্জিক্যালকে নগদ- ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩১,৮৪,০০০/- (একত্রিশ লক্ষ চুরাশি হাজার) টাকা জরিমানা প্রদান করেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন যাবৎ এই অসাধু ব্যবসায়ীরা অনুমোদনহীন অবৈধ ঔষধ মজুদ ও বিক্রয় করে আসছিল বলে জানা যায়।
বিএসডি/ এমআর