এদিকে আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দুই তাপমাত্রাই কমেছে। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। কুয়াশা আর ধুলা–ধোঁয়া মিলে দৃষ্টিসীমায় দীর্ঘ সময় ছিল কুয়াশা। অনেক এলাকায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে। বিশেষ করে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশার পরিমাণ ছিল বেশি। অনেক এলাকায় দুপুরে কিছুটা রোদ দেখা যাওয়ার পর বিকেল গড়াতে কুয়াশার চাদর আবারও ফিরে এসেছে। কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকার বায়ুর মানও ছিল সকাল থেকে বেশ খারাপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামী দুই–তিন দিন উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। তারপর কিছুটা মেঘ এসে শীতের দাপট কমে যেতে পারে। তার আগে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় চলমান শীতের অনুভূতি থাকবে।
বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ ঢাকার বাতাস ছিল অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে আবার এলাকাভেদে বায়ুর মানের পার্থক্য দেখা গেছে। বিকেল থেকে সবচেয়ে খারাপ বায়ু ছিল মিরপুর এলাকায়। সেখানে খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল বাতাস। এ ধরনের বাতাসে মুখে মাস্ক বা মুখোশ পরে চলাফেরা করা, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা এবং শিশু ও বৃদ্ধদের এ ধরনের বাতাসের সংস্পর্শে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এর পরেই দূষিত বায়ু বা খুবই অস্বাস্থ্যকর বাতাস ছিল মোহাম্মদপুর এলাকায়। বায়ুদূষণের দিক থেকে বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমের মধ্যে ছিল ঢাকার অবস্থান।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, আজ ভোর থেকে নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, পাবনা, নঁওগা ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এসব এলাকায় কাল বুধবার একই মাত্রায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। অন্যান্য এলাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। এর ফলে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোতেও শীত বাড়তে পারে।
আজ দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে ১৪ ডিগ্রি হয়েছে।
বিএসডি/ এলএল