রাজশাহীতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ৬৫ টাকার স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকায়। শীতকালীন রোগ বাড়ায় স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে ওষুধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে শিশুদের জীবন রক্ষাকারী স্যালাইনের বাজার। ফলে চিকিৎসা-ব্যয় মেটাতে হিমশিম অবস্থা দরিদ্র রোগীদের। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে উত্তরাঞ্চলে। একারণে বিশেষ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের অস্বাভাবিক চাপ বেড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একেকটি বেডে তিন থেকে ছয়জন করে শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওয়ার্ড ছাড়িয়ে শিশু রোগীদের সারি এখন হাসপাতালের বারান্দাতেও। কিন্তু হাসপাতালে মধ্যম সারির চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা , জানান শিশু বিভাগের প্রধান।
এদিকে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশুকেই স্যালাইন লাগছে। কিন্তু হাসপাতালে সরবরাহ নেই। এমন পরিস্থিতিতে বাজার থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, ৬৫ টাকা ও ৮৬টাকার স্যালাইন কিনতে হচ্ছে ৬০০টাকা থেকে ১২০০টাকায়। এতে দরিদ্র রোগীর অভিভাবকরা পড়েছেন বিপাকে।
অস্বাভাবিক দামে স্যালাইন বিক্রির অভিযোগ স্বীকার করে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতারা জানান, চাহিদা তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সাথে বসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে-বলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গেল অক্টোবরে রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি হয়েছিল এক হাজার ৮৭৫জন রোগী। এরমধ্যে মারা গেছে ২০জন, যাদের ৫জন ছিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এখন প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে প্রায়২০০ শিশু।
বিএসডি / মোঃ নাইমুর রাহমান