নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ‘রাজ-পরী’ দম্পতির ঘরে এসেছে আরও চার সাদা বাঘ শাবক। এ নিয়ে শুধু চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাতেই সাদা বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচ। আর মোট বাঘের সংখ্যা ১৬টি।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাজ-পরী দম্পতির ঘরে এ চারটি সাদা বাঘের জন্ম হয় বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ।
তিনি বলেন, সাধারণত চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়ার পর বাচ্চাকে দুধ দেয় না বাঘিনী। তবে এখানে ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর থেকে নতুন জন্ম নেওয়া শাবকগুলোকে তাদের মা দুধ দিচ্ছে। বর্তমানে শাবকগুলো তাদের মায়ের সঙ্গে আছে। তবে তাদের লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, শাবকগুলো তাদের মায়ের সঙ্গে থাকলেও ক্লোজ মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে। খাঁচায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে।
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন বাঘহীন থাকার পর ২০০৩ সালে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুটি বাঘ আনা হয়েছিল। বাঘ দুটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চন্দ্র’ ও ‘পূর্ণিমা’। ২০০৬ সালে ‘চন্দ্র’ মারা যায়। বয়স হওয়ার কারণে গর্ভধারণও সম্ভব ছিল না পূর্ণিমার। ২০০৯ সালে পূর্ণিমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর মারা যায় ‘পূর্ণিমা’। এরপর পুনরায় চার বছর আবারও বাঘহীন হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
পরে চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে শ্রীহীন হয়ে পড়ে দেশের বেসরকারিভাবে পরিচালিত একমাত্র চিড়িয়াখানাটি। এরপর অনেক চিঠি চালাচালির মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্রজাতির বাঘ দুটি আনা হয়।
চিড়িয়াখানায় বাঘ দুটির নাম রাখা হয় ‘রাজ’ ও ‘পরী’। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই প্রথমবারের মতো তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল পরী। এর মধ্যে বিরল প্রজাতির দুটি সাদা বাঘও জন্ম দেয়। একটি সাদা বাঘ মারা গেলেও অন্য সাদা বাঘিনীটি বড় হয়েছে। সাদা বাঘিনীর নাম রাখা হয় ‘শুভ্রা’। একই সঙ্গে জন্ম নেওয়া ডোরাকাটা অন্য বাঘটির নাম রাখা হয় ‘জয়া’। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর পরী আরও দুটি শাবকের জন্ম দেয়। পরের দিনই একটি মারা যায়। বেঁচে থাকা অন্য শাবকটি নাম রাখা হয় ‘করোনা’।
পরবর্তীসময়ে ২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর পরীর মেয়ে বাঘিনী জয়ার ঘরে জন্ম নেয় তিন শাবক। এর মধ্যে দুইটি মারা গেলেও অন্য শাবকটির নাম রাখা হয় ‘বাইডেন’।
বিএসডি/ফয়সাল