নিজস্ব প্রতিবেদক
রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যায়নি কনটেইনার, তেল ও খাদ্যপণ্যবাহী কয়েকটি ট্রেন। এতে করে বন্দরে কনটেইনার জটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৮টা থেকে থেকে যাত্রা করতে পারেনি অন্তত ৯টি পণ্যবাহী ট্রেন। এর মধ্যে ছয়টি কনটেইনারবাহী এবং তিনটি তেল ও গমবাহী ট্রেন রয়েছে। ট্রেনগুলো বন্দর এবং চট্টগ্রাম পোর্ট গুডস ইয়ার্ডে (সিজিপিওয়াই) আটকে রয়েছে।
সিজিপিওয়াইয়ের প্রধান ইয়ার্ড মাস্টার আবদুল মালেক জানান, কনটেইনারবাহী ৬টি ট্রেনে মোট ৩৭২ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) ঢাকা কমলাপুর আইসিডিতে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি রংপুর, সিলেট এবং শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে তেলবাহী আরও ৩টি ট্রেন বন্দরে বোঝাই অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বেশিরভাগ কনটেইনার সড়কপথে আনা-নেওয়া করা হয়। ৩ থেকে ৪ শতাংশ কনটেইনার রেল ও নৌপথে আনা-নেওয়া করা। সবমিলিয়ে ট্রেনের মাধ্যমে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৪০টি কনটেইনার পরিবহন করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইঞ্জিন সংকটের কারণে কয়েক মাস ধরে পরিবহনবাহী ট্রেন চলাচল কমে গেছে। তার উপর এখন রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি নতুন করে সংকট তৈরি করেছে। আবার কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে তা-ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিপর্যয় হতে পারে।
প্রসঙ্গত, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। এ কারণে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।