স্পোর্টস ডেস্ক
টিকিটের দেখা নেই, জার্সির খোঁজ নেই, অধিনায়কদের নাম জানতেই অপেক্ষা করতে হয়েছে একেবারে শেষ মুহূর্ত অব্দি। আবার ক্যাপটেন্স ডে কিংবা ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশন আয়োজন নেই। এত নেই এর ভিড়েই শুরু হচ্ছে বিপিএলের ১১তম আসর। যেটা ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী হওয়ার কথা ছিল একেবারেই ভিন্নধর্মী বিপিএল।
যদিও ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বলেই দিয়েছেন, কনসার্ট (যাকে বিসিবি নাম দিয়েছে মিউজিক ফেস্ট) ছাড়া আর কিছুতেই নতুনত্ব দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। খুব সম্ভবত দর্শকদের মনের কথাটাই বলে দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বিশেষত গতকাল রাত ১১টার সময়েও মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ছিল টিকিটের জন্য লাইন। বিপিএলের সামগ্রিক চিত্র কতটা নাজুক, সেটা টের পাওয়া গেল এখানে এসেও।
তবে এতসব অব্যবস্থাপনা, অপ্রাপ্তির মাঝে থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসর। না পাওয়ার অনেক অভিযোগের মাঝেও দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। আর সেই আগ্রহী দর্শকদের তৃপ্তি দিতে পারে কেবল মাঠের খেলা। সব অপ্রাপ্তি পেছনে ফেলা সম্ভব কেবল মাঠের খেলায় ভালো হলে। আরও স্পষ্ট করে বললে রানের দেখা মিললে।
একই সময়ে ৬ লিগ, খেলোয়াড় পাবে তো বিপিএল?
মিরপুরের শের-ই বাংলার স্লো উইকেট নিয়ে অভিযোগ বেশ পুরাতন। বিগত কয়েক বছরে খানিক রানের দেখা মিললেও সেটা বিতর্ককে পেছনে ফেলার জন্য যথেষ্ট না। অন্তত বিশ্বের বাকি লিগগুলোর হিসেবে বেশ পিছিয়েই থাকতে হচ্ছে বিপিএলকে। রানের বিচারে পাকিস্তানের লিগ পিএসএলে গড় রান যেখানে ১৮০ এর কাছাকাছি, সেখানে বিপিএলের ইনিংসপ্রতি গড় মোটে ১৫২।
ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগগুলোর ইনিংসপ্রতি গড় রান হিসেবে পাকিস্তানে রান হচ্ছে ১৭৭ থেকে ২০০ এর ঘরে। ভারতের আইপিএলে সেটা ১৭৫ এর আশেপাশেই থাকছে। ভাইটালিটি ব্লাস্ট (ইংল্যান্ড) এর ইনিংসপ্রতি রান ১৬৮ থেকে ১৯০। দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টোয়েন্টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিপিএলে গড় রান ১৫৩ থেকে ১৮০ এর মাঝে।
অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশে প্রতি ২০ ওভারে গড়ে ১৫২ রান করে তুলেছে দলগুলো। একই অবস্থা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে। গড় রানের হিসেবে এর নিচে আছে কেবল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ।
পরিবর্তনের কথা ‘মুখে মুখে’, অব্যবস্থাপনাতেই শুরু হচ্ছে বিপিএল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের তিন ভেন্যুর মাঝে কেবল মিরপুরেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের গড় স্কোর ছিল ১৬০ এর নিচে। হোম অভ ক্রিকেটে গড় স্কোর ২০২৪ সালে ১৫৪। সিলেটে পরিবর্তন হয়েছে অস্বাভাবিক হারে। ২০২৩ সালেও ১৬৩ গড় স্কোরের ভেন্যুতে ২০২৪ সালে গড় নেমেছে ১৫১ তে। অন্যদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বরাবরই রান প্রসবা। সেখানে ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসপ্রতি গড় ১৭৮ এর কাছাকাছি।