ডেস্ক রিপোর্ট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দারের বিরুদ্ধে অতর্কিত মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজশাহী ইন্সটিটিউট অব বায়োসায়েন্সসের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর মতিহার থানায় তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে রাজশাহী ইন্সটিটিউট অব বায়োসায়েন্সসের পরিচালক পর্ষদের মিটিং চলাকালে অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দার মিটিং রুমে প্রবেশ করে রেজুলেশন বহি ও মিটিং এর গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। একইসঙ্গে অতর্কিতভাবে মিটিংয়ে উপস্থিত সদস্যদের সামনেই হাফিজুর রহমানকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
আত্মরক্ষার্থে অধ্যক্ষ মিটিং রুমের বাইরে আসলে আলী হায়দারের সাথে আসা মুকুলসহ (৩২) চার-পাঁচ জন আবারও তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং অফিসে থাকা সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বিবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এফ এম আলী হায়দার বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। আমার আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আছে। আমি ঠিকমতো চলতে পারি না। আমি কিভাবে তাকে মারধর করবো? ’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগে তিনি নিজেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু ওই ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শামিমা বেগম। তিনি অধ্যক্ষ সেজে বসে আছেন।’
তবে হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শামিমা বেগম ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ছিলেন। অনেক আগেই আমাকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইন্সটিটিউটের ওয়েবসাইটে এটা এখনো পরিবর্তন করা হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটা তদন্তের পর্যায়ে আছে। তদন্ত শেষ হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিএসডি/এমএম