নিজস্ব প্রতিবেদক:
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে অর্থপাচার মামলায় কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এদিন আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সাহেদ ও তার সহযোগী পারভেজের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। মামলায় তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, সাহেদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে তিনি তুলে নেন ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ঋণের ৮০ লাখ টাকাসহ এ মুহূর্তে তার ব্যাংক হিসাবগুলোয় জমা আছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকার মতো। এসব অর্থের উৎস প্রতারণা ও জালিয়াতি। ‘প্রতারণা’ ও ‘জালিয়াতি’ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর আওতাভুক্ত অপরাধ।
প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের মাধ্যমে রূপান্তর এবং ভোগবিলাসে ব্যয় করার অপরাধে সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন বিভাগ সাহেদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, করোনার ভুয়া পরীক্ষা এবং জাল সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগে ওঠে সাহেদের বিরুদ্ধে। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। এরপর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেই থেকে সাহেদ কারাগারে রয়েছেন।
বিএসডি/আইপি