নিজস্ব প্রতবেদক:
রবিবার (১৭ জুলাই) পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন কাজের কারিগরি যাচাই-বাছাই শেষে এ তথ্য জানান তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, মাওয়া-ভাঙ্গা রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
তিনি বলেন, আজ এখানে দায়িত্বরত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা যানবাহন চলাচলের সময় সেতুর কম্পন পরিমাপ করেছেন। এখানে কম্পনের মাত্রা শূন্য দশমিক ১৩ পাওয়া গেছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রার অনেক নিচে। কম্পনের এ মাত্রা সেতুতে রেলের কংক্রিট ঢালাইয়ে বাধা হবে না।
দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, প্রয়োজনে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এতে হয়ত সেতুতে চলাচলকারী যানবাহনের গতি কিছুটা কমানো লাগতে পারে। তবে আপাতত সে সম্ভাবনা নেই। আশা করি রেলের কংক্রিট ঢালাইয়ে সময় সেতুর উপরিভাগে সব ধরনের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে রেলওয়েকে কাজ করার জন্য আজ সেতুর লোয়ার ডেক হস্তান্তর করা হয়েছে। চাইলে আজ থেকেই তারা সেতুতে রেললাইনের কাজ শুরু করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে সেতুর লোয়ার ডেকে (নিচ তলায়) রেল স্লিপার ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে। সেতু কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রেলওয়েকে আজ কাজ করার অনুমতিপত্র দিয়েছে। আগামী বছরের জুনে কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করার লক্ষ্যে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। রেললাইন বসানোর জন্য প্রাথমিক পরীক্ষায় তেমন কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আগামী ১ সপ্তাহ সেতুর যাবতীয় কারিগরি দিক পরীক্ষা করা হবে। সেতুর নিচতলায় এক্সপানশন জয়েন্ট, ওয়াক ওয়েসহ কিছু কাজ বাকি আছে। তবে এগুলো রেলের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না। প্রাথমিক পরীক্ষায় সেতুর উপরিভাগে যান চলাচলে তেমন কম্পন লক্ষ্য করা যায়নি। সে ক্ষেত্রে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা হবে না।