জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন রোববার বিকেল ৪টায় শুরু হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ অধিবেশনের শেষভাগে বিশেষ আলোচনা হবে। আলোচনার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দিতে পারেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশেষ অধিবেশনে বসে একাদশ জাতীয় সংসদ। ওই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সংসদের বৈঠকগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কিছু বিল উত্থাপন এবং আগে উত্থাপন করা কয়েকটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন ও পাসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। আসন্ন অধিবেশনের শেষ দিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ এর আওতায় দুই বা তিন দিন আলোচনা হতে পারে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের মত এবারও একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হতে পারে। সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তা সংসদে গ্রহণ করা হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ কার্যদিবসগুলোতে করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে কোরাম পূরণের শর্তে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্যদের অধিবেশনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ সকল সংসদ সদস্য অংশ নেবেন।
সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মত এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদের বৈঠক বসবে। অধিবেশনের শেষভাগে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হতে পারে।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, অধিবেশনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম শেষ করে এক-দুই দিন বিরতি দেওয়া হবে। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হবে। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিতে পারেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারির জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ।
সংসদের গণসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, এবার সংসদ অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না গণমাধ্যমের।সংসদ টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচার থেকে খবর সংগ্রহ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।