বিশ্বকাপে ভারতের যাত্রাটা শুরু হয়েছে ৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় দিয়ে। সেই শুরু, এরপর একে একে তারা আফগানিস্তান, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও সর্বশেষ বাংলাদেশকে হারিয়েছে। এশিয়া কাপ আসর থেকে টানা ম্যাচ খেলে চলেছে রোহিত শর্মার দল। শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে ঘরের মাঠে তারা ওয়ানডে সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। এভাবে রোহিত-কোহলিদের টানা খেলার ধকল কমাতে নতুন পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আগামীকাল (রোববার) ধর্মশালায় নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। দু’দলই এখন পর্যন্ত খেলা সবকটি ম্যাচেই (৪) জয় পেয়েছে। এরপর আরেক ম্যাচের আগে বেশ ফাঁকা সময় পাচ্ছে ভারত। সেই সময়টাতে রোহিতদের ২-৩ দিনের ছুটি দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। যাতে তারা তখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, টানা ম্যাচ খেলার পাশাপাশি কয়েক হাজার কিলোমিটার সফরের ধকল থেকে দলকে একটু স্বস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে নতুন করে ‘অক্সিজেন’ নিয়ে রোহিতবাহিনী তাদের পরবর্তী ম্যাচের জন্য তৈরি হতে পারে। ভারত ২২ অক্টোবর খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপরে ভারতের ম্যাচ ২৯ অক্টোবর। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। ফলে দুই ম্যাচের মাঝে রয়েছে ৭ দিনের ব্যবধান। আর সেই কারণেই কয়েকদিন ছুটির সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন দেশটির ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার এশিয়া কাপ থেকে টানা খেলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক সূত্রের বরাতে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘ক্রিকেটারদের সম্ভবত এই অপশন নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পরে দেওয়া হতে পারে, যেখানে তারা ২-৩ দিন দলের সঙ্গ ত্যাগ করে তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবে। এরপর লখনৌতে ২৬ অক্টোবর তাদের ফের দলের সঙ্গে যোগ দিতে হবে।’
জানা গেছে, ছুটির বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট ক্রিকেটারদের অনুশীলনের সূচি তৈরি করেছে। যা তাদের কিছুটা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যথেষ্ট উপযোগী হতে পারে। এতে দলের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন ক্রিকেটাররা।
এখন পর্যন্ত চার জয় নিয়ে সমান ৮ পয়েন্ট করে পেয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় টেবিলের শীর্ষে রয়েছে কিউইরা। দুটি দলই প্রতিপক্ষকে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। যার প্রমাণ মাঠের পারফরম্যান্সেই মিলেছে। আগের আসরে রানার্স-আপ হওয়া নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা। অন্যদিকে, ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ বৈশ্বিক আসরে সাফল্য পেতে চায় স্বাগতিক ভারত।
বিএসডি / এলএম