নিজস্ব প্রতিবেদক,
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর অলিগলিতে লোকজনের চলাচল কম দেখা গেছে। ঈদের আগে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে গেছেন, কিন্তু লকডাউনের কারণে তাদের বেশিরভাগই রাজধানীতে ফিরতে পারেননি। এছাড়া, লকডাউন কার্যকরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল অব্যাহত আছে। ফলে, লোকজন ঘরের বাইরে কম বের হওয়ায় রাজধানীর অলিগলি প্রায় ফাঁকা রয়েছে।
যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কাজলা, মাতুয়াইল, কোনাপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মহল্লার সড়কগুলোতে লোকজনের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। কিছু দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। কাঁচাবাজারগুলোতে অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তাছাড়া, যারা রাজধানীতে আছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা ঘরের বাইরে তেমন বের হচ্ছেন না।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, একদিকে ঈদের আমেজ এখনো কাটেনি, অপরদিকে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ। তাছাড়া, শনিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই, মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে তেমন বের হচ্ছেন না।
যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা হুমায়ুন আহমেদ বলেন, ‘যারা গ্রামের বাড়িতে গেছেন, তারা ছুটির আমেজে আছেন। অফিস-আদালতও বন্ধ। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষজন ঘরেই থাকছেন।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের পরে বেশ কয়েকদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। এখন করোনাকাল, সেই সঙ্গে সরকার ঘোষিত লকডাউন। এসব কারণে মার্কেট পুরোপুরি বন্ধ। তাই, মানুষজন ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছে।’
শনির আখড়া বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন মাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘লকডাউন আতঙ্কে বাইরে মানুষ কম বের হচ্ছে। বেচাকেনাও খুব বেশি হচ্ছে না।’
যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা ২ নং গেইট এলাকার মুদি দোকানি রাফিম আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তাই, ভয়ে লোকজন খুব বেশি বাইরে বের হয় না।’
বিএসডি/এমএম