নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সবগুলো লঞ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঁচটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
সংস্থাটির পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীদের নেতৃত্বে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে প্রকৌশলীদের রাখা হয়েছে। অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা যাতে সামনে না হয়, সেই পদক্ষেপ নিতে এসব কমিটি করা হয়েছে।
রোববার এ সংক্রান্ত দপ্তর আদেশ জারি করা হয়। কমিটিগুলোকে লঞ্চ পরিদর্শন করে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করা ও এসব ত্রুটি নিরসনে সুপারিশ করতে বলা হয়েছে।
পাঁচ কমিটির প্রধানরা হলেন- বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বওপ) কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, পরিচালক (সওপ) মো. শাহজাহান, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকৌশল বিভাগ) মো. মহিদুল ইসলাম, পরিচালক (নৌনিট্রা) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং প্রধান প্রকৌশলী (এমএমই বিভাগ) মো. আতাহার আলী সরদার।
পাঁচটি কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক যুগান্তরকে বলেন, নৌপথে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা হোক তা আমরা কখনই চাই না। তবুও অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এসব কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সারা দেশে চলাচল করা লঞ্চগুলোকে কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, পর্যায়ক্রমে কমিটিগুলো প্রতি সপ্তাহে দুই দিন সদরঘাট সরেজমিন পরিদর্শন করবে। লঞ্চ পরিদর্শনের সময়ে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেটও কমিটির সঙ্গে থাকবেন। সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চের সাধারণ ও কারিগরি দিক পর্যবেক্ষণ করবে এসব কমিটি। এ সময় যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো ত্রুটি পেলে ওই লঞ্চের যাত্রা বাতিল করবে। এ ছাড়া অনিয়ম ও গাফিলতি পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দায়ীদের সাজা দেবেন।
বিএসডি/ এলএল