আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতরত্ন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর ৯২ বছর বয়সে মারা গেলেন। টানা প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সকালে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বহু ভাষায় গান গাওয়া এই শিল্পী ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন। তার আগে ১৯৮৯ সালে পেয়েছেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার।
১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার কারণে ‘গিনেস বুক’-এ নাম উঠেছিল লতার।
তাঁর মৃত্যুতে ভারতের সংস্কৃতি জগতে তৈরি হলো বিশাল এক শূন্যতা। আর এই শূন্যতা কোনো দিন পূরণ হবে না বলে মন্তব্য করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের খবরে ব্যথিত মোদি এক টুইট বার্তায় জানান, তিনি নির্বাক। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা করা হয়েছে লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে।
টুইট বার্তায় মোদি লিখেছেন, ‘আমি নিজের ব্যথার কথা বলে প্রকাশ করতে পারব না। দয়ালু এবং যত্নশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যতা রেখে গেলেন, যা কখনো পূরণ করা যাবে না। ‘
মোদি আরও লিখেছেন, ‘আমি লতা দিদির কাছ থেকে সবসময় অনেক স্নেহ পেয়ে এসেছি। এটাকে আমি আমার সম্মান বলে মনে করি। তাঁর সাথে আমার আলাপচারিতা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। লতা দিদির প্রয়াণে আমি দেশের নাগরিকদের সাথে শোকাহত। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সমবেদনা জানিয়েছি। ‘
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাংলা গান ও পূর্বের শিল্পীদের এতো ভালোবাসা দেওয়ায় প্রয়াত কোকিলকণ্ঠীকে তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ভারতীয় প্রযোজক দুর্গা যশরাজ বলেছেন, ‘অনেকেই জানতে চান, লতা দিদি কেন বিয়ে করেননি। আমি প্রশ্ন করি, তাঁর কি সত্যিই কোনো পুরুষকে দরকার ছিল? তিনি যে ধরনের সাফল্য দেখেছেন, আর কেউ সেই সাফল্যের কাছেও যেতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। পুরুষশাসিত ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নারী হয়ে তিনি যা করেছেন, তা শিক্ষণীয়। লতা দিদিকে চিনতে পেরে, জানতে পেরে আমি ধন্য। এমন মানুষের শুধু জন্মই হয়। মৃত্যু হয় না কখনো। ‘
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।