আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ বলেছেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। লন্ডনে আক্রান্তের ৪৪ শতাংশ ওমিক্রনে সংক্রমিত, আর যুক্তরাজ্যে ২০ শতাংশ।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে প্রথম মৃত্যু হলো ব্রিটেনে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। জনসন বলেছেন, এই দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত মিউটেশনের ফলে ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়তে পারে ওমিক্রনের তরঙ্গ। এর জন্য সচেতন থাকা জরুরি।
তবে ওমিক্রনে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে এর বেশি তথ্য দেননি বরিস। তার বিদেশে যাওয়ার কোনো ইতিহাস ছিল কিনা, তাও জানা যায়নি। ব্রিটেনে গত ২৭ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বুস্টার টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ওমিক্রন ধরন প্রথম আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় শনাক্ত হয়। এর পর করোনার এ ধরন আফ্রিকার আরও কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরাইল, ইতালি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, নাইজেরিয়া।
নতুন ধরন ছড়ানো শুরুর পর থেকে আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বিভিন্ন দেশ।
এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকাতে কমপক্ষে ৭০ দেশ ও অঞ্চল আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ওমিক্রন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তারাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও কতটা সংক্রামক তা এখনও স্পষ্ট নয়। আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এই রূপকে দ্রুত ধরতে সক্ষম বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
সূত্র: বিবিসি।
বিএসডি/ এলএল