নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৫২ বাংলাদেশিকে আজ (মঙ্গলবার) বেনগাজী থেকে দেশে পাঠানো পরিকল্পনা রয়েছে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যক্রম নিয়ে প্রকাশিত তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত সেবা কার্যক্রমের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ত্রিপোলির সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দূতাবাস প্রবাসীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করেছে এবং যুদ্ধকবলিত এলাকা থেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ত্রিপোলির অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেও দূতাবাস তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ৮৩ জন এবং তবরুক ও বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ৭৬ জন বাংলাদেশির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে। দূতাবাস ডিটেনশন সেন্টারে আটক অভিবাসীদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ১৫২ জন বাংলাদেশিকে ট্র্যাভেল পারমিট প্রদান করেছে এবং তাদেরকে আইওএম-এর সহযোগিতায় আজ (২৭ মে) বেনগাজী থেকে দেশে পাঠানোর জন্য ফ্লাইট পরিচালনার সার্বিক সমন্বয় সম্পন্ন করেছে।
এই সময়ে লিবিয়ায় মৃত চারজন বাংলাদেশির মরদেহ দেশে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ সরকারি খরচে এবং একজনের মরদেহ পরিবারের খরচে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে জাওইয়া শহরে অজ্ঞাত একটি মরদেহ পরিবারের মাধ্যমে শনাক্ত করে দেশে পাঠাতে দূতাবাস সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে।
দূতাবাসের প্রচেষ্টায় ত্রিপোলির নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে থাকা ২৬ জন বাংলাদেশিকে মুক্ত করে তাদের নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রিপোলিতে উদ্ধার হওয়া একজন অসুস্থ বাংলাদেশিকে স্থানীয় সারে জাওইয়া হাসপাতালে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় রক্ত সংগ্রহ এবং অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ট্র্যাভেল পারমিট ও নতুন পাসপোর্টধারী আড়াই শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিকের দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে তাদের বহির্গমন অনুমতি অর্জনের জন্য লিবিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সঙ্গে দূতাবাস ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।