ক্রীড়া ডেস্ক:
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য রীতিমতো দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর এবার ঢাকায়ও দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিককে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই উদ্বোধনী দুই ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭০ রান। দুই ওপেনারই হয়েছেন বোল্ড।
সফরের শেষ ম্যাচে এসে টস জিতেছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও দেখেশুনে ভালো শুরু করেন দুই ওপেনার আবিদ ও শফিক।
তবে বেশ কয়েকটি ডেলিভারিতে ওপেনারদের মনে ভয়ের জন্ম দেন এবাদত হোসেন। কিন্তু সেগুলোতে উইকেট আসেনি। বরং সিরিজে টানা তৃতীয় ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়ে ফেলে পাকিস্তানের দুই ওপেনার।
উইকেটের সম্ভাবনা জেগেছিল সাকিবের করা ১৬তম ওভারেও। টার্ন করে বাইরে বেরিয়ে যাবে ভেবেছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। কিন্তু নিখুঁত আর্মার সোজা ঢুকে যায় ভেতরে, আঘাত হানে শফিকের প্যাডে। কিন্তু সাকিবের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি।
অধিনায়ক মুমিনুল হককে রাজি করাতে এক সেকেন্ডও লাগেনি সাকিবের, সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নেন রিভিউ। থার্ড আম্পায়ারের রিপ্লে’তে দেখা যায় একদম অফস্ট্যাম্প ঘেঁষে চলে যাচ্ছে বলটি। ফলে অল্পের জন্য বেঁচে যান ডানহাতি শফিক।
কিন্তু বাঁচতে পারেননি তাইজুলের করা ১৯তম ওভারে। তাইজুলের বলে পুরোপুরি বোকা বনে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন আগের ম্যাচে জোড়া ফিফটি করা শফিক। তিনি করেন ৫০ বল থেকে ২৫ রান। তার বিদায়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৫৯ রানে।
এরপর বেশিক্ষণ থাকা হয়নি আবিদেরও। ইনিংসের ২৫তম ওভারে তাইজুলের বলে কাট শট খেলতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে বল আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ফলে ৩৯ রানেই থেমে যায় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আবিদের ইনিংস। তৃতীয় উইকেট জুটিতে খেলছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার আবিদ আলি ও অধিনায়ক বাবর আজম।