করোনা পরিস্থিতে সমগ্র বিশ্ব স্থবির হয়ে আছে। বিশ্ব অবস্থান করছে এক সঙ্কটময় অবস্থায়। শুধুই সঙ্কট নয় মনে হচ্ছে পৃথিবী তার সভ্যতার অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। এ যেন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবুও থেমে নেই মানুষের জীবনযাত্রা। প্রতিনিয়তই মানুষকে সঙ্কটের এ মুহূর্তে নিজের জীবনকে বাজি রেখে জীবিকার তাগিদে ছুটে চলছে। এক বেলা খাবারের নিশ্চয়তা যাদের আছে আবার যাদের নেই উভয়ের কাছে একই কথা। যেখানে মৌলিক চাহিদার একটিরই নিশ্চয়তা নেই এ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সেখানে বাকি চাহিদাগুলোর কী করে আশা করছে মানুষ? ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার খেলাটা বড় অদ্ভূত।
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে বাংলাদেশ সরকার গত ১ জুলাই থেকে শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন। বাস, লঞ্চ,ট্রেন সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ থাকবে।জরুরি প্রয়োজন ও জরুরি সেবা ছাড়া কেউ বের হতে পারবে না। বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসে সারাদেশে করোনার ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। যাতে মানুষ সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বাহির না হতে পেরে চরম বিপর্যয়ে দিন কাটছে। খেটে খাওয়া মানুষরা পরিবারের সবার মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে না। তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরাই তারা আনাহারে দিন কাটাচ্ছে।এমত অবস্তায় সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত জীবন- যাপন করছেন। মুখিয়ে রয়েছেন কবে শেষ হবে শাট ডাউন, কবে শেষ হবে করোনার ধ্বংসযঞ্জ লীলা। তাদের একটাই দাবী স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান পাট,শপিংমল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে দেবার । অপরদিকে করোনায় যেন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সারাদেশে হাসপাতাল গুলোতে রোগী ভর্তি। করোনা রোগী ছাড়াও বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের মানুষ হাসপাতালে রয়েছে। কোনো কোনো জায়গা হাসপাতালে বেড না থাকায় বাহিরে রোগী অবস্থান করছে। এছাড়াও অক্সিজেনের ও ঘাটতি রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ও করোনার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত মাস খানিক আগে অক্সিজিনের অভাবে ভারতে অনেক মানুষের করোনার জীবন দিতে হয়েছে। ভারতের আকাশে লাশের গন্ধ ও ধোঁয়া ভরে গিয়েছিল। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে আমাদের দেশে যেন এমন পরিস্থিতি না দেখতে হয়। তাই এমন কঠোর শাট ডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
লেখক- কুশ কুমার কুশল
বিএসডি/ কুশল/সাজ্জাদ