শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনরত ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিকে ৭২ ঘণ্টা ধরে চলমান অনশনে সব শিক্ষার্থীই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়েছে পড়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থীর অবস্থা বেশি খারাপ বলে জানিয়েছেন অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে দায়িত্বরত চিকিৎসক।
গত বুধবারে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন বসেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হার্ট অ্যাটাক করার পর সে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু বাকি শিক্ষার্থীদের সবাই এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে আজ শনিবার সকালের দিকে দুই শিক্ষার্থীর অক্সিজেন লেভেল কমে যাওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে মোট ১৬ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়। কিন্তু গতকাল দুইজন শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা একটু স্বাভাবিক হলে তারা আবারও ক্যাম্পাসে এসে অনশনে যোগদান করেন। এ ছাড়া সকালে হাসপাতালে নেওয়া শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদিনের অক্সিজেন লেভেল একটু স্বাভাবিক হওয়ায় সে আবারও ক্যাম্পাসে এসে অনশন শুরু করেন। এই নিয়ে মোট তিনজন শিক্ষার্থী হাসপাতাল থেকে ফিরে আবারও অনশনে অবস্থান করছেন।
ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে মেডিকেল টিমের সদস্য ও এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সমকালকে বলেন, এই পর্যন্ত মোট ১৬ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং নিশাত নামের এক ছাত্রীর অবস্থা খুব বেশি খারাপ। এখনও খাবার গ্রহণ না করলে বেশি খারাপ অবস্থা হতে পারে।
অনশনরত শিক্ষার্থী জাহিদুর ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘আমরা সবাই অসুস্থ। অধিকাংশই হাসপাতালে ভর্তি। এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের দাবি ও অবস্থান ধরে রেখেছি এবং ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবো।’
শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে এটা পুরোপুরি প্রশাসনের ব্যর্থতা। পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে রক্ত ঝরানোর এমন ঘটনা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি।’
বিএসডি/ এলএল