শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ভিসির পদত্যাগেরও দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যেই ২০২০-২১ সেশনে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে সোমবার জানিয়েছেন শাবিপ্রবি ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাক আহমেদ।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘যেই ভিসি শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করান সেই ভিসি আমরা চাই না। এই ভিসিকে আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। আমরা তার পদত্যাগ চাই।’
এর আগে রোববার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি শিক্ষা ভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে সাত দিনের সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানার প্রেক্ষিতে তারা বর্ধিত সময় দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের সামনে ধিক্কার ধিক্কার, প্রশাসন ধিক্কার বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
এরপর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের পিছু নেন এবং অর্জুন তলা থেকে ফিরে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে গেলে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে সামনে পান। তখন শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পিছু নিয়ে ‘ধিক্কার ধিক্কার’ স্লোগান দিতে থাকে। এসময় উপাচার্যকে নিয়ে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে ঢুকলে শিক্ষার্থীরা সেখানে ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিছু কিছু শিক্ষার্থী হল ছেড়ে গেলেও এখনো বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
তিনদফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে আন্দোলন করছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
বিএসডি /আইপি