সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের শুরু ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেট থেকে। এরপর থেকে সম্পর্কে গভীরতা যা আজও চর্চা হয় বলিউড পাড়ায়। কিন্তু সে সম্পর্ক দীর্ঘজীবী হয়নি। এর কারণ হিসেবে বারবার ঐশ্বরিয়া আঙুল তুলেছেন সালমান খানের দিকে।
সেই সময় তাদের সম্পর্কের সাক্ষী হয়েছেন অনেকে—তাদের একাংশ দাবি, সালমান খানের আচরণের কারণেই ঐশ্বরিয়া বাধ্য হয়েছিলেন এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে। কোনও পুরুষের সঙ্গে সামান্য ঘনিষ্ঠতা দেখলেই সালমান খান মনে করতেন তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ঐশ্বরিয়া। এই তালিকা থেকে বাদ রাখেননি বন্ধু শাহরুখ খানকেও।
এ জন্য রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হতো ঐশ্বরিয়াকে। এর ফলে এ বিশ্বসুন্দরীর হাত থেকে বেরিয়ে যেত একের পর এক ছবির প্রস্তাব। যে কোনও শুটিং সেটেই থাকুন না যখন তখন ঐশ্বরিয়াকে নিতে চলে আসতেন সালমান খান। এ কারণে অনেক প্রযোজনা সংস্থাকে বেজায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল।
একই কারণে ‘চলতে চলতে’ ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে। সালমান খানের সঙ্গে শটের মাঝখানে বেরিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় তার গালের চড়ও মেরেছিলেন ভাইজান। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত শাহরুখ খান সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন। পরে এই সমস্যা নিয়ে তিনি ছবি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না, এই অনুমান করে স্থির করেছিলেন ঐশ্বরিয়া বাদ দেবেন। তারপর এই ছবির প্রস্তাব পৌঁছে যায় রানি মুখার্জির কাছে। এসব কথা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
যেদিন সলমন খান ‘হিট অ্যান্ড রান’ কেসে জড়িয়ে পড়েন, তার আগে এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া জানিয়েছিলেন, সালমান খান তাকে শাহরুখ খানের সঙ্গে সন্দেহ করছেন। সলমন খান নিজের সন্দেহের বসে বারবার নিজের ক্ষতিও করেছেন। এ সব বিষয়গুলো মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের। আর রাত পোহাতেই ‘হিট অ্যান্ড রান’ কেস ঘটিয়ে ফেলেন সলমন খান। সেটা ছিল এক কথায় সালমান খানের জীবনে কালো অধ্যায়।
যখন একের পর এক বিতর্কে নাম জড়াচ্ছে তার, বিভিন্ন অভিনেতাদের সঙ্গে বিবাদ করছেন তিনি ঐশ্বরিয়া কেন্দ্র করে, তবে তালিকায় যখন অভিষেক বচ্চনের নাম উঠে আসে, তখন সে বিষয়টা মোটেও গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি ভাইজান। হয়তো ভাবতেই পারেননি এমনটাই দাবি ঐশ্বরিয়ার।
বিএস/এলএম