বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
ক্লাস করার জন্য ড্রাফটিং টেবিল নেই,টুলস নেই, নেই স্থায়ী শিক্ষক। শুধু তাই নয়, নেই কোন পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস; যেখানে সিলেবাসের ৭০ ভাগ ক্রেডিটের ক্লাসও হচ্ছে না শিক্ষক এর অভাবে। এভাবেই গত ৩ বছর যাবত চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগ।
আজ ( মঙ্গলবার ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনটা ২য় তলায় প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় এসব হতাশার কথা ব্যক্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগ। প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন,ড্রাফটিং টেবিল সহ প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ স্কয়ারটি যায়গা যা আমাদের নেই।অন্যদিকে এই মানদন্ড অনুযায়ী একটি ডিজাইন স্টুডিও তে ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য দরকার ২ জন শিক্ষক সাখে স্টুডিও তেও প্রযােজন।
তারা বলেন, ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে আমাদের ২ জন অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে ক্লাস শুরু করা হয়। আমাদের কোন অফিস রুম, কম্পিউটার ল্যাব, টিচার রুম নেই।একইসাথে বিভাগের নেই কোন স্থায়ী শিক্ষক।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট (বাস্থই) হচ্ছে বাংলাদেশের সকল ইন্সটিটিউট এর স্থাপত্য বিভাগের মানদণ্ড অনুযায়ী অনুমােদন প্রদানকারী সরকারি সংস্থা। আমাদের শিক্ষা পরবর্তী ভবিষ্যৎ এর জন্য দরকার ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেকস বাংলাদেশ (IAB) এর এক্রিডেশন; যা ছাড়া আমাদের স্বীকৃতি থাকবে না আর্কিটেক্ট হিসাবে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট এর মানদন্ড অনুযায়ী যেখানে আমাদের ২৫ ভাগ অস্থায়ী শিক্ষকনেওয়ার কথা থাকলেও গত ৩ বছর যাবত এই বিভাগ ১০০ ভাগ অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে পরিচালনাকরা হচ্ছে। প্রথম থেকেই আমরা শিক্ষার্থীরা স্থায়ী শিক্ষক নিয়ােগ এর কথা প্রশাসনকে বার বার জানিয়ে আসলেও তাদের কোন অগ্রগতি ছিল না। এমনকি করােনা মহামারীতে ও বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে প্রশাসন আমাদের অপেক্ষা করার কথা শুনিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে।
সর্বশেষ গত ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আমরা আবার সকল শিক্ষার্থী সহ ক্যাম্পাস এ এসেছি কিন্তু এইবারও আমাদের শিক্ষক নিযােগ দেবার কোন সুনির্দিষ্ট জবাব দেয় নি প্রশাসন।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, আমরা এই সপ্তাহের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করবো। প্রসঙ্গত , বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগটি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে চলমান। এই বিভাগে দুই ব্যাচের মােট ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিএসডি/এমএম