নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাভারের আশুলিয়ায় প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম জিতু ওরফে জিতু দাদাসহ (১৯) এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২ জুলাই) সকালে দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান।
এর আগে, গত (৩০ জুন) তার স্বাক্ষরিত আলাদা দুটি বহিষ্কার আদেশ সংবলিত নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
আশরাফুল ইসলাম জিতু সম্পর্কিত নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুন প্রতিষ্ঠানের পৌরনীতি ও সুশাসন বিভাগের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা ও অবমাননার দায়ে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জিতুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অপর ছাত্রী বহিষ্কারের নোটিশে বলা হয়, শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যার ঘটনায় আসামি জিতুকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে তার জবানবন্দিতে কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর নাম উঠে আসে। ফলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পরপরই ২৭ জুন সোমবার স্কুলের শিক্ষক পরিষদের একটি জরুরি সভা হয়। সেখানে জিতুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নোটিশ আকারে প্রকাশ করা হয়। একই দিন ঘটনার নেপথ্যের বিষয়ে কলেজে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু। ঘটনার পর দ্রুত উৎপলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার (২৬ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সেদিনই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চারদিন পর বুধবার (২৯ জুন) জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে ও জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুজনকে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বিএসডি/ফয়সাল