নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
সারাদেশের সব গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া ও নিরাপদ সড়কের ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এর আগে সচিবালয়ের সামনে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ২ নম্বর গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ।
পরে তারা প্রেসক্লাবের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সেখান থেকেও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থী আন্দোলনের সংগঠক মহিদুল ইসলাম দাউদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভিভিআইপি মুভমেন্ট আছে উল্লেখ করে আজ তারা আমাদের কোথাও দাঁড়াতে দেয়নি। সচিবালয়ের সামনে আমাদের ব্যানার কেড়ে নেয় পুলিশ।’
‘পুলিশের বাধায় আজ আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি পণ্ড হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে,’ বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা গতকাল কর্মসূচির বিষয়ে এক বিবৃতিতে ৯ দফা দাবিতে আজ আন্দোলনের কথা জানিয়েছিলেন। এসব দাবির মধ্যে আছে সড়কে নিরাপত্তা ও সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিচার।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ২৪ নভেম্বর একটি স্মারকলিপির মাধ্যমে ৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু বাস মালিকরা প্রথমে ঢাকা শহরে এবং পরে দেশের সব মেট্রোপলিটন শহরে অর্ধেক ভাড়া নিতে রাজি হয়।’
‘আমরা পরবর্তীতে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে গণপরিবহনের অর্ধেক ভাড়ার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য এবং আমাদের অন্যান্য দাবিগুলোর বাস্তবায়ন শুরুর জন্য আরেকটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম,’ এতে বলা হয়।
এর আগে শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক বাস ভাড়া সংক্রান্ত সরকারের দেওয়া গেজেটকে ‘বাস্তবতাবর্জিত’ বলে অভিহিত করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে বাস ভাড়া বাড়ানোর পরে গত ১৮ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। রাজধানীতে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ২ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর বিক্ষোভ আরও বেগবান হয় এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
বিএসডি/ এলএল