নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে প্রকৃত ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য নেওয়া হতো। তারপর সেসব কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নম্বরের আদলে জাল সনদ তৈরি করে বোর্ডের ওয়েবসাইটে সংযোজন করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি চিহ্নিত একটি প্রতারক চক্র।
সম্প্রতি এই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার স্পেশাল টিম।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই জালিয়াতির রহস্য উন্মোচন করতে জড়িতদের গ্রেপ্তারে নামে তদন্তসংশ্লিষ্টরা। তারা জানতে পারেন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় রাজধানী সিটি মডেল কলেজ থেকে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয় এক ব্যক্তি। তার ইতালি যাওয়ার জন্য এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। জাল সনদ তৈরির জন্য সে তার মামা গ্রেপ্তারকৃত মো. জামাল হোসেনের মাধ্যমে একেএম মোস্তফা কামালের সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন।
‘পরে কামাল শিক্ষা বোর্ডের দালালচক্র গ্রেপ্তারকৃত মারুফ, মাহবুব আলম, ফারুক আহমেদ, স্বপন ও মো. আবেদ আলীর সঙ্গে সমন্বয় করে নূর তাবাসসুম, পিতা মো. নুরউদ্দিন, মাতা রোকেয়া সুলতানা-এর সার্টিফিকেট সংক্রান্ত জেএসসি এবং এসএসসি পাশের সব তথ্য সংগ্রহ করে। তারা প্রথমে শিক্ষার্থীর নাম, পিতার-মাতার নাম সংশোধনের জন্য শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করেন।
তিনি জানান, প্রতারক চক্র ঢাকা শিক্ষাবোর্ডসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখসহ অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংযোজন করে জালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইতোপূর্বে যারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে কৃতকার্য হয়েছে, তাদের শিক্ষা বোর্ডের রেজাল্ট আর্কাইভে প্রবেশ করে ফলাফল যাচাই করে কোনো পরিবর্তন দেখতে পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা পুলিশকে জানাতে হবে।’
বিএসডি/আইপি