নিজস্ব প্রতিবেদক:
তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এসব ইউনিয়নের নির্বাচনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলে কম ভোট পাওয়ায় ১৩ ইউনিয়নের ১৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্রে (কাস্টিং ভোট) পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২.৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়।
এছাড়া শ্যামপুর ইউনিয়নে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের জামানত হারাচ্ছেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন মোহাম্মদ জুবায়ের আলম। তিনি পেয়েছেন ১৮৮ ভোট এবং নবাব মো. শামসুল হোদা। তিনি পেয়েছেন ২২২ ভোট।
ধাইনগর ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জুয়েল রানা। তিনি পেয়েছেন ৬১ ভোট। চককীর্ত্তি ইউনিয়নে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছেন ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর। প্রার্থীরা হচ্ছেন সাদিকুল ইসলাম, তিনি পেয়েছেন ১৪৫৮ ভোট এবং আব্দুল হালিম, তিনি পেয়েছেন ১১৭ ভোট।
অন্যদিকে, মোবারকপুর ইউনিয়নে জাসদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়জুল ইসলাম জামানত হারাচ্ছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৩ ভোট। বিনোদপুর ইউনিয়নে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তদের জামানত হারাচ্ছেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন মহা. আবু সাঈম, তিনি পেয়েছেন ৬৬ ভোট। আবু সাঈদ, তিনি পেয়েছেন ৯২ ভোট, মো. আজিজুল ইসলাম, তিনি পেয়েছেন ১০৬ ভোট এবং মো. বদিউজ্জামান, তিনি পেয়েছেন ১৫৩ ভোট।
উজিরপুর ইউনিয়নে ২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। প্রার্থীরা হচ্ছেন জাইদা নাহার, তিনি ভোট পেয়েছেন ২৬ ভোট ও মো. শরিফ উদ্দীন, তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৮০ ভোট। পাঁকা ইউনিয়নে জামানত হারাচ্ছেন মো. ইসমাইল হোসেন, তিনি পেয়েছেন ৫৪৪ ভোট। ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নে মাহবুব আলম ৪২ ভোট পেয়েছেন।
বিএসডি /আইপি