রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে ১২-১৭ বছর বয়সী স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) থেকে এই কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের স্কুলগামী শিশুরাও। আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি জেলায় আজ টিকা প্রয়োগ শুরু হলেও দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সবমিলিয়ে ২৩টি জেলার স্কুলগামী শিশুরা টিকার আওতায় চলে আসবে। এমনকি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে সারাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই কার্যক্রমে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সবগুলো জেলায় আমরা শিগগিরই স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু করব। ইতিমধ্যে যে যেভাবে পারছে, এই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। আমরা টিকা প্রয়োগকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং করে দিয়েছি। এখন জেলাগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ডেভেলপ করে টিকা কার্যক্রম শুরু করবে। তবে কে, কবে থেকে এই কার্যক্রম শুরু করবে এটা নির্ভর করবে স্কুল ও জেলাগুলোর ওপর। পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে এটি বাড়তে থাকবে।
শামসুল হক বলেন, ফাইজারের টিকা এখনো সারাদেশে ৬৪টি জেলায় আমরা পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের সক্ষমতার একটি ব্যাপার রয়েছে, যে কারণে সব জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফাইজারের টিকা ১২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো জায়গায় পৌঁছাতে হবে। কাজেই ঢাকা থেকে সব জায়গার দূরত্ব একরকম না। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী সব জেলায় এগুলো সংরক্ষণের সক্ষমতাও আমাদের নেই। এই চিন্তা করে প্রাথমিকভাবে আমরা ২৩টি জেলাকে নির্বাচন করেছিলাম, যেখানে আমরা টিকাগুলো দ্রুত পৌঁছাতে পারছি। সেখানে টিকা প্রয়োগকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং ও যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২৩টি জেলার পর আরো ২৪টি জেলাকে আমরা নির্বাচন করে ফেলেছি। এরপর আর বাকি থাকবে ১৭টি জেলা, সেগুলোও শিগগিরই আমরা পর্যায়ক্রমে টিকার ব্যবস্থা করে ফেলব।
অধিদফতরের এই লাইন ডিরেক্টর বলেন, আমাদের এখন ২৬টি ফ্রিজার রয়েছে ঢাকায়। এগুলোতেই শুধু ফাইজারের টিকা রাখা যায়। আমরা আরও ১০টি ফ্রিজার আনছি, যেগুলো সারাদেশের আটটি বিভাগে চলে যাবে। যখন আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে টিকা রাখতে পারব তখন আমাদের বিভাগগুলো থেকে জেলাগুলো কাছে চলে আসবে তখন আমাদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে টিকা পৌঁছে দেওয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলগামী শিশুদের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিম মালেক। এরপর ১ নভেম্বর থেকে রাজধানীর আটটি কেন্দ্রে এই কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাঁচ হাজার করে দৈনিক ৪০ হাজার করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।