নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রোহিঙ্গা ও হোস্ট কমিউনিটির শিশুদের সুরক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্র্যাক। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এ উদ্যোগ আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি কক্সবাজারের একটি হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা। ‘লেশন লার্ন ওয়ার্কশপ’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্র্যাক এইচসিএমপির আওতাধীন চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টর।
২০২১ সালে শিশু সুরক্ষা সেক্টরে কী অর্জিত হয়েছে, কী চ্যালেঞ্জ ছিল ও ২০২২ সালে কী করা যেতে পারে—সে সম্পর্কে সুপারিশমালা তুলে ধরতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন পর্বে মূল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এইচসিএমপির চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের ফিল্ড অপারেশন্স ম্যানেজার ফখরুল আলম, একই প্রোগ্রামের সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট কামরুল হাসান ও প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহানা আখতার।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন ব্র্যাকের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) এরিয়া ডিরেক্টর হাসিনা আখতার হক, এইচসিএমপি কর্মসূচির প্রধান রবার্টস শীলা মুথিনি, একই প্রোগ্রামের আওতাধীন ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (ব্র্যাক আইইডি) কর্মসূচির প্রধান সৈয়দা সাজিয়া জামান, এইচএমপির আওতাধীন চাইল্ড প্রোটেকশন সেক্টরের টিম লিড রিফাত জাহান নাহরিন ও সংশ্লিষ্ট কর্মসূচির সিনিয়র কর্মকর্তারা।
হোস্ট কমিউনিটিতে প্লে ল্যাব ও রোহিঙ্গা কমিউনিটিতে হিউম্যানিটারিয়ান প্লে ল্যাব নামে শূন্য থেকে ৬ বছর বয়সী শিশু ও তাদের মায়েদের সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, খেলনা ও খেলার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখা। আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, স্থানীয় প্লে লিডার ও ভলান্টিয়ারগণ বিভিন্ন সেন্টারে শিশুদের মধ্যে শিশু উপযোগী খেলনা দেন। যা শিশুদের মানসিক বিকাশকে তরান্বিত করে। এর পাশাপাশি জরুরি সহায়তা হিসেবে শিশুদের সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট, সাইকোলজিক্যাল ফাস্ট এইড সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া শিশুদের বিকাশে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের কারিকুলামের আলোকে তাদের নিজম্ব মাতৃভাষায় ও হোস্ট কমিউনিটিতে বাংলা ভাষায় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
কর্মশালা থেকে বক্তারা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে মায়ের পাশাপাশি বাবাদের সম্পৃক্তকরণ, করোনা পরিস্থিতিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডোর টু ডোর সেবা কার্যক্রমকে জোরদারকরণ, শৈশবের প্রাথমিক বিকাশ এবং এ সংক্রান্ত কাজে চলমান গবেষণার কার্যক্রম আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন।
বিএসডি / আইকে