নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভরা মৌসুমেও শীতের বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। বেড়েছে মুরগী ও ডিমের দাম। ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজারও।
বাজারে ফুলকপি ও পাঁতাকপি প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা ও ব্রুকলি ৪০-৫০ টাকা, তাল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০-২৫ টাকা, মিস্টি কুমরা ৩০-৪০, লাউ ৮০-৯০, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর রামপুরা, মধুবাগ, মালিবাগ বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে কমেছে টমেটোর দাম। কেজিপ্রতি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫, শসা ৫০-৬০ টাকা, গাঁজর-৩০-৩৫ ও নতুন আলু ২৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, বিদেশি রসুন ১৬০ ও দেশি ১৮০ টাকা ও আদা ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, সবজির দাম কিছুতেই কমছে না এবার। বরং কিছু কিছু সবজির দাম অকারণে বাড়ে। আমরাও অস্বস্তিতে থাকি। শীতের মৌসুমে সবজির এত আইটেম, তারপরও দাম তেমন কমে না।
অন্যদিকে ডিমের ডজন দাম বেড়ে ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ডিমের দাম ছিল ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা। তবে দাম কিছুটা কমেছে সোনালি মুরগীর। কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৭৫-১৮০ টাকায়। অন্যদিকে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। কেজিপ্রতি ১৮০-১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগী কেজি প্রতি ৪৫০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অস্বস্তি শাকের বাজারেও। লাল শাক, পালং শাক, মুলা শাক, সরিষা শাক ২০-৩০ টাকা আঁটি ও লাউ শাক ২৫-৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভরা মৌসুমে স্বস্তি নেই চালের বাজারেও। গত সপ্তাহে যে নাজিরশাইল ও মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৬৫-৬৬ ও ৬০-৬২ টাকায়, শনিবার সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৬৮, ৬২-৬৫ টাকা কেজিতে। অর্থাৎ কেজিপ্রতি এসব চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।
তবে বাজারে স্বর্ণা বা মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। পাইজম চাল বিক্রি হয়েছে ৪৫-৪৬ টাকায়। মাঝারি মানের অন্যান্য চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকা কেজিতে।
বিএসডি /এলএল