নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে পাপাচারের শেষ নেই। জানুয়ারি ৫ই বলেন, তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন, শাপলা চত্বরের ম্যাসাকার বলেন, মাওলানা সাঈদীর ভার্টিকালের পরে ম্যাসাকার বলেন, ২০১৮ সালের রাতের ভোট বলেন, প্রতিবছর ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচারের কথা বলেন, পাপাচারের তো শেষ নেই। প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আমাদের কাজ হচ্ছে। হাসিনাকে আমরা বিচারের আওতায় আনবো।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিগত তিনটি নির্বাচন নিয়ে যে অনিয়মগুলো হয়েছে সেগুলো নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কী কী কাজ করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আমরা এগুলো নিয়েই কাজ করছি। আমাদের অনেকগুলো কাজ, একটা দুটি তো না। জুলাই আগস্টে যে ভয়াবহ ম্যাসাকার হলো সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। গুমের ব্যাপারে একটা কমিশন করে দেওয়া আছে তারা খুব ভালোভাবে কাজ করছে। দুই একটা আয়না ঘরের সামনে ভিজিটের ব্যবস্থা করব। আপনারা যেতে পারবেন। কীভাবে মানুষকে গুম করে রাখা হতো। কিছু কিছু জায়গায় গুম হওয়া ব্যক্তিরা হাত দিয়ে টেনে টেনে লিখেছে যে আজকে ১৮০ দিন, ২৫০ দিন। এগুলো লেখাও আছে।
জুলাই আন্দোলনে ছয় সাংবাদিকের হত্যার বিচার হবে কি না, জবাবে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আত্মীয়স্বজন এসেছিলেন। এটা নিয়ে অলরেডি আমরা বলেছি। একটা বড় প্রোগ্রামে আমি বলেছিলাম যে, এটা আমাদের টপ প্রায়োরিটি। সাংবাদিক হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
‘শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি৷ সে ব্যাপারে আমরা কিছু তাদের কাছ থেকে শুনিনি৷ কিন্তু তাকে ফিরিয়ে আনা আমাদের টপ প্রায়োরিটি। তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা এটা আমাদের একটা দায়। তারা যে আকাম, কুকাম করেছে তারা যে গুমতন্ত্র জারি করেছে, এগুলোর জন্য তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। শেখ হাসিনা তার বাবার খুনিদেরকে পার্চু করে অনেক জায়গা থেকে নিয়ে এসে বিচারে করেছে। আমরাও তার বাবার খুনিদের যেভাবে পার্চু করেছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ, তারচেয়ে বেশি পার্চু করে তাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করব।’
শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা যে ভয়ংকর কাণ্ড করেছে, ইন্ডিয়ান মিডিয়া তা জানতো না। ইদানিং অনেকে লেখা শুরু করেছে। দুই একটা লেখাও দেখবেন। পুরো পৃথিবী যখন জানবে যে, কি ধরনের হত্যাকাণ্ড, কি ধরনের অনাচার, তখন তার প্রেশারটা তৈরি হবে। তাকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
অন্তবর্তী কালীন সরকারের মেয়াদে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা সম্ভব কি না হবে, এমন প্রশ্ন জবাবে প্রেস সচিব বলেন, পলিটিক্যাল পার্টি কী আমাদের অংশীজন না? তারা যদি ক্ষমতায় আসে, তারাও এই ইয়েতে থাকবেন। এটা একটা জেনারেশনাল ব্যাপার। ছোট ছোট বাচ্চাদের খুন করা হলো, এটা বিচার হবে না? আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা যদি আমাদের সময় না পারি, তারপর যারা আসবেন তারা করবেন। এটা জাতির একটা আকাঙ্ক্ষা, তাকে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।