নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার জন্যই করোনার মধ্যেও দেশের সর্বস্তরের মানুষ ভালো রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশ এত দুর্যোগের মধ্যে সহনশীল অবস্থায় আছে।
সোমবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতির পিতার ৪৬ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুর রহমান বলেন, আগস্ট মাস আসলেই ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে শুরু করে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার ও যুদ্ধোপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসলে কোনোদিন এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতো না।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। আজকের সময়ের দাবি, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ও বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব তাদের মুখোশ উন্মোচিত করে বিচার করা।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে বাঙালি জাতির কাছে সম্পূর্ণ স্পষ্ট হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমানের উল্লাস করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের পুর্ণবাসন ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত বলে স্পষ্ট করেছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করতে ইনডিমিনিটি জারি করেছিল জিয়াউর রহমান। ইতিহাস তার বিচার করেছে।তার লাশ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটাই হলো ইতিহাসের বিচার।
আব্দুর রহমান বলেন, লন্ডনে বসে তারেক জিয়া প্রতিনিয়ত দেশ ও দেশের উন্নয়নে বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার রুদ্ধ করতে সব অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক,জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ,আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া,এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
বিএসডি/এমএম