নিজস্ব প্রতিবেদক
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস-দর্শন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। নেতা হলেন একজন, সেটা শেখ হাসিনা। আর সবাই আমরা কর্মী।
শনিবার পিরোজপুরের নেছারাবাদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশে শেখ হাসিনা আছেন বিধায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার, জেল হত্যার বিচার, বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার, দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সব সম্ভব হচ্ছে। আমাদের অনুভূতি থাকতে হবে শেখ হাসিনাকে কীভাবে রক্ষা করতে পারি, তার কর্মসূচি কীভাবে সফল করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘটনার ধারাবাহিকতা। এটা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। আর ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘটনা ছিল ১৯৭১ সালের বর্বরোচিত, নৃশংস ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ধারাবাহিকতা।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যারা আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করেছে, বাড়ি-ঘর পুড়িয়েছে, ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করেছে, দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তাদের লক্ষ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ যাতে প্রতিষ্ঠিত না হয়। বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করার কারণে তারা সেদিন সফল হয়নি। কিন্তু তারা থেমে থাকেনি। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সেই চক্রই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। তারা ভেবেছিল সব শেষ। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ফিরে আসার পর ওরা বুঝতে পারলো শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন। সেজন্য অন্তত ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে তারা।
নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেন, নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কামরুজ্জামান খান শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফুয়াদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি/এমএম