নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঈদুল আজহা ও সরকারি ছুটিসহ ব্যাংক মঙ্গলবার (২০ জুলাই) থেকে ৫ দিন বন্ধ। সে হিসেবে আজ সোমবার (১৯ জুলাই) শেষ কার্যদিবস। এ কারণে ব্যাংকে গ্রাহকদের উপস্থিতি অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। ঈদকে সামনে রেখে নগদ টাকার চাহিদা থাকায় ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড় বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা।
রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, দৈনিক বাংলা ব্যাংক পাড়ায় ব্যাংকারদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটিই জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ঈদের ছুটি ২০,২১,২২ জুলাই এবং ২৩ ও ২৪ জুলাই শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি। সব মিলে ব্যাংক ৫ দিন বন্ধ। এরপর লকডাউনে সীমিত সময়ে ব্যাংকে লেনদেন হবে।
সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে নগদ টাকা চাহিদা বাড়ছে। তাছাড়া ঈদের আগে আজ শেষ কার্যদিবস। ঈদ ও সরকারি ছুটি মিলে ৫ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। গ্রাহকরা নগদ টাকার যোগান দিতে ব্যাংকমুখি হচ্ছে। তাছাড়া শিল্পকারখানার বেতন ভাতা উত্তোলন করার জন্যও ব্যাংকে আসছে গ্রাহকরা। এ কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যাংকে আজ গ্রাহক উপস্থিতি বেশি। সেই সঙ্গে লেনদেনও বাড়ছে। বেশি ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে জমার চেয়ে টাকা উত্তোলন করছে। গ্রাহকদের ভিড়ের মধ্যে সতর্কতার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকাররা।
ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ফরেন এক্সচেঞ্জ করপোরেট শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম কাউছার আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদের ছুটিসহ ৫ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে। এ সময় গ্রাহকরা নগদ টাকা প্রয়োজন মেটাতে ব্যাংকে টাকা তুলতে আসছে। এছাড়া ঈদের আগে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রাবাসীরা। অনেকে রেমিট্যান্সের অর্থ উত্তোলন করতে ব্যাংকে আসছে। এসব কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ ব্যাংকে ভিড় বেশি বলে জানান তিনি।
ব্যাংকপাড়ায় দেখা গেছে, গ্রাহকদের লাইন ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে। অনেকটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করছে। ব্যাংকের প্রবেশ পথে নিরাপত্তারা কর্মীরা জীবাণুনাশক স্পে করতে দেখা গেছে।
সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের ক্যাশ কাউন্টারে কর্মরত একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, কাল থেকে ব্যাংক বন্ধ। তাই গ্রাহকদের উপস্থিতি আজ বেশি বেড়েছে। এ ব্যাংকে গ্রাহকরা জানান, এটিএম বুথ খোলা থাকলেও অনেক সময় নেটওয়ার্ক থাকে না। তাই অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়। ফলে ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে এসেছে।
সোনালী ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন অসিম হাওলাদার। তিনি বলেন, ঈদের পরে লকডাউন। তখন ব্যাংকে আসা যাওয়া সমস্যা। তাই পরিবারের খরচ মেটানোর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা উত্তোলন করতে আসছি। যে টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা সহজ সেটা তো আর এটিএম বুথ থেকে তুলতে পারবো না।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহজাহান রাইজিংবিডিকে বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ গ্রাহকদের চাপ বেশি। আমরা গ্রাহকদের সব সময় ব্যাংক না এসে অনলাইনে লেনদেন করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। তবুও নগদ টাকার যোগান দিতে ব্যাংক আসছে গ্রহকরা। তবে সাধারণ গ্রাহকদের চেয়ে শিল্প কারখানার বেতন ভাতার জন্য বড় অঙ্কের লেনদেন হচ্ছে বেশি।
বিএসডি/এমএম