ক্রীড়া ডেস্ক,
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজের ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়েছিল গতকাল (সোমবার)। কিন্তু কয়েক ঘণ্টায় পরেই সিরিজ স্থগিতের অনুরোধ করে আফগানিস্তান এবং দুই বোর্ডের আলোচনায় সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে। সিরিজ স্থগিতের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।
গত কয়েকদিনে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সিরিজ নিয়ে কম জল্পনা-কল্পনা হয়নি। আফগানিস্তানের হোম সিরিজে হিসাবে সিরিজটি প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) অনুষ্ঠিত হবে এইজন্য আফগানদের ফিরিয়ে দেয় আমিরাত। তখন শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেখানেও বাঁধে বিপত্তি।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পাওয়ার পরে আফগানিস্তানের বিমানবন্দর অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। ফলে নিজ দেশ থেকে শ্রীলঙ্কায় বিমান ভ্রমণ করা সম্ভব না।
তাই সড়ক পথে পাকিস্তানে গিয়ে এবং তারপর পাকিস্তান থেকে বিমানে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় আবার কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। প্রথমে ভ্রমণ জটিলতা ও তারপর কোভিড-১৯- এসব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পাকিস্তানেই এই সিরিজটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় সিরিজটি স্থগিতের জন্য আফগানিস্তান অনুরোধ করেছিল। এই সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ- আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্য, দেশটির বিমানবন্দরগুলো অস্থিতিশীলতা, সিরিজটি সম্প্রচার সুবিধা না পাওয়া এবং শ্রীলঙ্কায় করোনাভাইরাস বৃদ্ধি। দুই বোর্ডের সম্মতিতেই সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে। ২০২২ সালে সিরিজটি আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে।
পিসিবির ভাষ্যমতে, ‘খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যু, কাবুল বিমানবন্দরে জটিলতা, সম্প্রচার সুবিধা না পাওয়া এবং শ্রীলঙ্কায় কোভিড-১৯ বৃদ্ধির কারণে সিরিজটি স্থগিতের জন্য এসিবির অনুরোধ গ্রহণ করেছে পিসিবি।’
তবে এই সিরিজ স্থগিত নিয়ে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানি সমর্থকদের মতে, শুরু থেকেই আইপিএল ও সিপিএল খেলায় যেন আফগানদের কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়, এইজন্যই সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে, আফগানিস্তান সমর্থকদের মতে, পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের হোম সিরিজ খেলার চেয়ে সিরিজ স্থগিত করার সিদ্ধান্তই শ্রেয়।
বিএসডি/এএ