আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে সফরে গিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সফরে তিনি দেশটির সেনাশাসকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হন। কিন্তু তাকে অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়নি জান্তা।
বন্দি সু চি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শ্রিংলা। কিন্তু তাকে সেই অনুমতি দেয়নি সামরিক জান্তা। আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রিংলার আবেদন খারিজ করে দেয় মিয়ানমারের ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল’।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মায়ানমারের সেনাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন শ্রিংলা। গত মাসে মণিপুরে মিয়ানমারে চূড়াচাঁদপুর জেলায় অসম রাইফেলসের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় কর্নেল বিপ্লব ত্রিপাঠি ও তার স্ত্রী পুত্রের। নিহত হন আরও চার জওয়ান। মনে করা হচ্ছে জঙ্গিরা হামলার পর মিয়ানমার পালিয়ে যায়। ওই বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
গত বুধবার অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর দুই দিনের মিয়ানমার সফরে যান শ্রিংলা। সেখানে সেনাপ্রশাসন, বিজ্ঞজন ও সু চি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রিংলা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সীমান্তে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’ বৈঠক হয়েছে। দেশটিতে দ্রুত গণতন্ত্র ফেরানো এবং বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি-কে চার বছরের জেলের সাজা দেয় দেশটির একটি আদালত। সেনাদের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া ও করোনাবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছিলেন, সু চি’র সাজা নিয়ে ভারত বিচলিত। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পক্ষে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি আইন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে চলা উচিত। দেশের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সব পক্ষেরই উচিত আলোচনার পথে হাঁটা।
সূত্র:এএনআই
বিএসডি/ এলএল