নিজস্ব প্রতিবেদক,
এ ঘটনায় নিহত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, রাজাখালী ইউনিয়নের হাজী পাড়ার মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর ও নুরুল হকের ছেলে রবি আলমকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ঘটনার সময় আমি ও আমার স্ত্রী বাঁশখালীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম। রাতে ছেলে ফোন দিয়ে বলে, আমার মেয়ে বিষপান করেছে। দ্রুত বাড়িতে এসে স্থানীয়দের থেকে জানতে পারি মৃত বাদশার ছেলে আলমগীর, নুরুল হকের ছেলে রবি আলম ও বাঁশখালী ছনুয়া এলাকার মকসুদ আহমদের ছেলে আবুল কাশেম আমার মেয়েকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে মৎস্য প্রজেক্টের টংঘরে নিয়ে যায়। ওখানে তিন জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এমন ঘটনায় আমার মেয়ে অপমানবোধ করায় রাতে বিষপান করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দিন নেজু জানান, আমি যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতো বাঁশখালীর ছনুয়া এলাকার আবুল কাশেম নামে এক বখাটে। সর্বশেষ রাতে ওই বখাটেসহ তার আত্মীয় আলমগীর ও রবি আলম ছাত্রীকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ছাত্রী অপমান সইতে না পেরে রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে জেনেছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, এক কিশোরীর বিষপানে আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিএসডি/আইপি