কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘আমি চাই মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিক। ভোটারের উপস্থিতি যদি না হয় তাহলে সেটা আমার বোনের (শেখ হাসিনা) জন্য কলঙ্ক জনক হবে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুসারে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। আসন্ন নির্বাচনে ৭০-৮০ শতাংশ ভোট যদি কাস্ট হয়, জাল ভোট যদি দিতে না হয়, তাহলে আমার তো মনে হয় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চাইতেও কিছুটা উপরে যেতে পারে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে প্রয়োজন হলে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিব।’
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ‘মহাসড়কের পাশে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধকে’ দেখতে এসে আগামী নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘রাজনীতিতে যেই মাত্র জ্বালাও পোড়াও আসবে, ভাঙচুর আসবে, সেই মাত্র বুঝতে হবে যারা জ্বালাও পোড়াও করছে তারা হেরে যাচ্ছে। তারা (বিএনপি) এখন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে, নিয়ন্ত্রণহীন রাজনীতি অর্থহীন। আমরা আইয়ুব খানকে জ্বালাও পোড়াও করে বিদায় করিনি, আমরা লাখো মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে আইয়ুব খানকে স্তব্ধ করে দিয়েছিলাম। তার পুলিশ, ইপিআর ও আর্মিকে স্তব্ধ করে আমরা বঙ্গবন্ধুকে জেলের তালা ভেঙে বের করে এনেছিলাম। আজকে যদি তারা তেমন গণঅভূত্থ্যান করতে পারেন, করবেন!’
দেশের রাজনীতিতে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা এসে তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে যাবে এটা বাংলার মানুষ মেনে নিবে না। বিশেষ করে ইসরায়েল এখন গাজায় যা করছে, আমেরিকা ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে একেবারে সর্বোত্ত ভাবে সাহায্য করছে। যারা মানুষ হত্যার পিছনে থাকে বাংলার মানুষ তাদের পিছনে থাকবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে দিয়েও পরাজিত হয়েছিল। এবার না হয় অষ্টম নৌবহর, না হয় দশম নৌবহর পাঠাবে।’
এর আগে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস শীল, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী আব্দুল মালেক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রহমান পারভেজ, আবুল হোসেন, ফরিদ আহমেদ, যুব আন্দোলন সভাপতি হাবিবুন নবী সোহেল, যুব নেতা ইমরান জিসান, শাকিলুর রহমান শাকিল ও রাসেল মোহাম্মদ ডালিম প্রমুখ।
বিএসডি / এলএম