নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সংস্কারের কোনো শেষ নেই। কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। অর্থাৎ নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথা কেউ বলেন না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সাহিত্যিক সাংবাদিক কালাম ফয়েজী রচিত ‘নেতা ও কবি’ বই প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষ্যে “বিজয়ের ৫৩ বছর : আমাদের অর্জন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভাটির আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সব সময় সব দেশের রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদরাই সমাধান করেন। জাতীয় ঐক্য হয় একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কথা কেউ বলেন না।
তিনি বলেন, আমাদের তো একটা ফরেন পলিসি আছে। আমরা বলেছি সকল দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব কিন্তু কোনো প্রভুত্ব না। শুধু ভারতের সঙ্গে নয় পুরো বিশ্বের সঙ্গে আমাদের ফরেন পলিসি থাকতে হবে। ছোট বড় দেশ বলে কোনো কথা নেই। প্রতিটা দেশই কারও না কারো উপর নির্ভরশীল। আমেরিকা এত বড় একটা দেশ তাদের অস্ত্র বানানো ছাড়া কোনো কারখানা নেই। কিন্তু তাদের পোশাক, অন্যান্য পণ্যের জন্যও বিভিন্ন দেশের উপর নির্ভর করতে হয়। সুতরাং তারাও নির্ভরশীল কোনো না কোনো দেশের উপর।
ভারত প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত বাণিজ্য ও ভিসা বন্ধ রাখলে তাদেরই ক্ষতি বেশি। আমরা তো শুধু ইলিশ মাছ পাঠাই, তারা সবকিছুই পাঠায়। সুতরাং ভিসা এবং এলসি এসব যদি বন্ধ থাকে তাহলে তাদের নিজেদের ক্ষতি ঠেকানো সম্ভব না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব না বুঝে। তাহলে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে মুখোমুখি। আজকে তারা নেপালের সঙ্গে বন্ধুত্ব হারিয়েছে মালদ্বীপের বন্ধুত্ব হারিয়েছে এমনকি ভুটানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হারিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক অনেক আগেই হারিয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে। তাদেরকে ভাবতে হবে, দক্ষিণ এশিয়ার ভেতর সবগুলো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে তারা কীভাবে চলবে। কোনো দেশই ভারতের সঙ্গে আপস করছে না। ভারতের অবস্থা বাঘ ও শিয়ালের গল্পের মত হয়ে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দৈনিক খোলাবাজার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো জহিরুল ইসলাম কলিম প্রমুখ।