নিজস্ব প্রতিবেদক
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। গঠন করা হয় বিভিন্ন সংস্কার কমিশন। কমিশনগুলোর মধ্যে পাঁচটি কমিশনের চেয়ারম্যান ও ছয়জন সদস্য কোনো পারিশ্রমিক নেননি। সরকার তাদের এই সেবার ঘটনাটি ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণ করবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব কমিশন প্রধান এবং সদস্যরা অবৈতনিক ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেছেন গত ১৮ মে তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং এ কমিশনের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ কা ফিরোজ আহমেদ কোনো পারিশ্রমিক নেননি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান অবৈতনিক ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করেন।
এছাড়া পারিশ্রমিক নেননি– শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভা প্রধান তাসলিমা আখতার, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য বার-এট-ল ইমরান সিদ্দিকী ও এম মঈন আলম ফিরোজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মো. মুস্তাইন বিল্লাহ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার তাদের এই সেবার ঘটনাটি ধন্যবাদের সঙ্গে স্মরণ করবে।