নিজস্ব প্রতিবেদক
এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি নিয়ে রাত ৩টায় সিদ্ধান্তের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সচিবালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৫৭ জন।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পৌনে ৫টার দিকে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
আহতরা হলেন- হাসান (১৮), অজানা (২০), সেরাতুল (২২), সাকিব (১৯), তানভীর (১৯), রিফাত (১৯), রিজন (২০), সামিয়া (১৮), সামির (১৯), তামিম (১৯), অজানা (১৮), ইমন (২০), সিয়াম (১৮), সাকিল (২০), মেহেদী (২০), সাদমান (১৮), মারুফ (২২), সাকিব (১৮), মাহিন (১৯), রোহান (২০), হাসিব (২০), মুগ্ধ (১৯), মাহিম (২০), হাসিব (১৯), সায়েম (১৮), অজানা (২০), জিদান (২০), নিহার (২০), রায়হান (২০), রোমান (১৮), প্রান্ত (১৯), নাহিদ (২০), অন্তু, (২০), বিশাল (২০), ইমরান (২০), আহনাদ (১৮), মাহি (২০), নাঈম (১৮), সামি (১৮), স্বাধীন (২০), তাসিন (১৮), ইমরান (১৯), ধ্রুব (১৯), শান্ত (২০), তানিম (২০), আজহারুল (২০), তন্ময় (১৯), জিসান (১৯), রাসেকুন (২০), পারভেজ (২০), নাঈম (১৯), বিজয় (১৭), কনা (২১), ইমন (১৯), ফাহাদ (১৮), ইয়াসিন আরাফাত শান্ত (২০), অজানা (১৯) ও শাকিল (২০)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, সচিবালয় থেকে আহত অবস্থায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা হঠাৎ গেটের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর তারা সচিবালয়ে বেশ কয়েকটি সরকারি গাড়ির কাচ ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন কলেজের অনেক শিক্ষার্থী মারা গেছে। এমন দুঃখজনক ঘটনার পরও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। হঠাৎ করে রাত ৩টার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকালে পরীক্ষা দিতে বের হয়ে জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এমন দায়িত্বহীন সিদ্ধান্তের জন্য আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদত্যাগ চাই।
বিক্ষোভে ঢাকার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এই ঘটনায় এখনো সচিবালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।