জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
সঞ্চয়পত্র বিক্রয়ের বিপরীতে কমিশনের নতুন হার নির্ধারণ করেছে সরকারের অর্থমন্ত্রণালয়। এখন থেকে এক নিবন্ধনে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা বা ০.০৫ শতাংশ কমিশন পাবে বিক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক, পেনশনার ও পরিবার সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক মেয়াদি হিসাব অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে বিক্রি করা হয়।
এর আগে প্রতি এক লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র বিক্রির বিপরীতে পাঁচশ টাকা কমিশন দেওয়া হত। এক নিবন্ধনে ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কমিশন পেত ২৫ হাজার টাকা। তবে নতুন নির্দেশনায় সেই সুবিধা থাকছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, ব্যাংকের শাখা, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর ও ডাকঘর থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। বর্তমানে অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সব অফিস থেকে একই পদ্ধতিতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও সুদহার দেওয়া হয়।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এক লাখ ১২ হাজার ১৮৮ কোটি ২৪ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে, আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭০ হাজার ২২৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ হিসাবে গেল অর্থবছরের নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ আসে ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।
বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এই হার কার্যকর আছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।