নিজস্ব প্রতিবেদক
সঠিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গবাদি পশু থেকে মিথেন নির্গমন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। বাংলাদেশ মিথেন নির্গমন অর্ধেক কমাতে সক্ষম হলে এ সবুজ অর্থনীতির বাজারমূল্য দাঁড়াতে পারে ১.৫ বিলিয়ন ডলারে।
সোমবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান কারণ মিথেন গ্যাস নিরোধে নতুন প্রযুক্তি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন গবেষক আবেদ চৌধুরী। যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে মেধাসম্পদ সুরক্ষা মঞ্চ, রোম, ক্রিশান ফাউন্ডেশন।
বক্তব্যে আবেদ চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী মিথেন গ্যাসের একটা বড় অংশ আসে গবাদিপশু অর্থাৎ গরু, ছাগল আর মহিষের পেট থেকে। এই জাবর কাটা প্রাণীগুলোর হজম প্রক্রিয়ার সময় ঢেকুর, নিশ্বাস ও বর্জ্যের মাধ্যমে বিপুল মিথেন গ্যাস নিঃসরণ হয়। বৈশ্বিকভাবে প্রতি বছর এ ধরনের গবাদিপশু থেকে নির্গত হয় প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন মিথেন। বাংলাদেশের গবাদিপশু খাত থেকেও প্রতি বছর প্রায় ৩০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইডের সমতুল্য মিথেন নির্গত হয়।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্ভাবিত বিশেষ ধরনের প্রাকৃতিক ছত্রাক গবাদিপশুর হজম প্রক্রিয়ায় মিথেন উৎপাদন ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে সক্ষম। এই ছত্রাক কোনোরকম জেনেটিক মডিফিকেশন ছাড়াই কাজ করে এবং পশুর স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে না। প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী খামারিরাই ছোট ছোট ইউনিটে এই ছত্রাক উৎপাদন করতে পারবেন। এটি পশুখাদ্যে ফিড অ্যাডিটিভ হিসেবে মেশালে কার্যত মিথেন নির্গমন বন্ধ হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বিএলআরআইর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সিফাত হোসাইন জয়া প্রমুখ।