রাজনৈতিক প্রতিবেদক
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতিদ্রুত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ দলের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, বর্তমানে সবকিছু খোলা রেখে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন? এর অর্থ কী?
রোববার (২৯ আগস্ট) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর উত্তরের তেজগাঁও থানা শাখা আয়োজিত সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, টানা দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা বইয়ের জগৎ ছেড়ে ফেসবুক, পাবজি গেমে কিংবা নেশার জগতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে ঝরে পড়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থী। এ পরিস্থিতিতে অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষক সবাই উদ্বিগ্ন। তাই আর কালক্ষেপণ না কর অতিদ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাকে একটি জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে একটি জাতির সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে একই বর্ষে আটকে আছে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে সেশনজট, চাকরির ক্ষেত্রে বয়সের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে। সব কিছু মিলিয়ে একটি মেধাশূন্য জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। তবুও সরকার কোন ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না?
তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। এর সাথে জড়িত রয়েছে ষ্টেশনারী, লাইব্রেরিসহ অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। অনেক শিক্ষক বাধ্য হচ্ছেন পেশা পরিবর্তন করতে। এ পরিস্থিতে সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে চলতি মাসের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুহা. আনোয়ার হোসেন। তেজগাঁও থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহা. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুহা. ইলিয়াছ হোসাইনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার।
বিএসডি/এমএম